বিশ্ব মান দিবস- ১৪ অক্টোবর ২০২৩
প্রতিপাদ্য: “SHARED VISSION FOR A BETTER WORLD”
“সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান”
উপরোক্ত প্রতিপাদ্যের উপর গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই, সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি. রোজ শনিবার সকাল ১১:০০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, মান্যবর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব), সিলেট বিভাগ, সিলেট; সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব শেখ রাসেল হাসান, সম্মানিত জেলা প্রশাসক, সিলেট; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব তাহমিন আহমদ, সভাপতি, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং জনাব জামিল চৌধুরী, সভাপতি, ক্যাব, সিলেট। উক্ত আলোচনা সভায় বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস, সিলেট এর কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ক্যাব এর প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ জেলা প্রশাসন সিলেটের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বিএসটিআই সিলেট এর উপপরিচালক ও অফিস প্রধান জনাব মোঃ লুৎফর রহমান বিশ্ব মান দিবসের ইতিহাস, মান দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ক তাৎপর্য, বিএসটিআই’র কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএসটিআই’র গ্রহণযোগ্যতা, পণ্য ও সেবার মান বাস্তবায়নে সরকারী পদক্ষেপ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুশাসন নিশ্চিতে বিএসটিআই’র বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সহযোগিতা, গঠনমূলক পরামর্শ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জাতীয় মান সংস্থা বিএসটিআই তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জনাব আরিফ আহাম্মদ, সহকারী অধ্যাপক, শাবিপ্রবি, তার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনে “SHARED VISSION FOR A BETTER WORLD” “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান” বিষয়ে জাতীয় মান ও আন্তর্জাতিক মান এর ব্যাখ্যা, প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরে উন্নত এবং টেকসই বিশ্ব বিনির্মাণে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবহার ও প্রয়োগ করে স্মার্ট স্ট্যান্ডার্ড, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উপর তথ্যবহুল এবং বাস্তব সম্মত একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উদাহরনসহ উপস্থাপন করেন।
আলোচনা সভার বিশেষ অথিতি জনাব তাহমিন আহমেদ, সভাপতি, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বলেন সিলেট চেম্বার ও বিএসটিআই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে সরকারি সেবা দ্রুততম সময়ে প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিএসটিআই, সিলেটের ল্যাবে আরো অধিক সংখ্যক পণ্য পরীক্ষার সুবিধা সৃষ্টির জন্য বিএসটিআই, কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। জনাব মোঃ জামিল চৌধুরী, সভাপতি, ক্যাব বলেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে আন্তর্জাতিক মান অনুসরন করে টেকসই ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ক্যাব, বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ একত্রিত হয়ে মানসম্মত ও ভেজালমুক্ত ভোগ্যপণ্য ভোক্তার নিকট পৌঁছাতে নিরলসভাবে কাজ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করার মাধ্যমে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
জনাব ইকবাল সিদ্দিকী, সভাপতি, প্রেস ক্লাব, সিলেট বিএসটিআইকে পণ্য ও সেবার মান নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন ও পরিমাপের কারচুপি রোধে আরো ব্যাপক পরিসরে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি জনাব আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, মান্যবর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব), সিলেট বিভাগ, সিলেট তাঁর বক্তব্যে পণ্যের মানের বিষয়ে বলেন, সেবাদানকারী ও সেবা গ্রহণকারী উভয়কে মানের বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক মান অনুসরণে আন্তরিক হয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইকে তিনি ১৯৭৪
সালে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা ISO এর সদস্য পদ এনে দেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ঘাতকরা পুরণ করতে না দিলেও তাঁরই সুযোগ্য কন্যা যার অকুতোভয়, সাহসী ও দূরদর্শী বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে; এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে রোড ম্যাপ অনুযাযী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও টেকসই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পণ্য/সেবার মান আন্তর্জাতিক মানে অনুসরণ এবং মান বজায় রেখে রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে হবে। মান দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ের ব্যাপারে বলেন “SHARED VISSION FOR A BETTER WORLD” “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান” পরিবেশ রক্ষা করে শিল্পায়ন ও শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মান আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করলে শিল্প উদ্যোক্তা ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবেন এবং পৃথিবী সুন্দর বাসযোগ্য স্থানে পরিনত হবে।
পরিশেষে সভার সভাপতি জনাব শেখ রাসেল হাসান, সম্মানিত জেলা প্রশাসক, সিলেট স্টেকহোল্ডারদের বিএসটিআই’র প্রণীত মান যথাযথভাবে অনুসরণ করে সুস্থ সবল জাতি গঠনে সহযোগিতার আহ্বান জানান এবং সভায় প্রাণবন্ত উপস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার বিএসটিআই’র বেশকিছু উন্নয়ন সাধন করেছে এবং সারা দেশে বিএসটিআই’র সেবা প্রাপ্তি সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। আশা করা যায় অচিরেই বিএসটিআই’র সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং এর স্টেকহোল্ডারগণ আরো বেশি উপকৃত হবে। সভায় উপস্থিত সকলকে ধৈর্য সহকারে আলোচনা শুনার জন্য এবং গঠনমূলক আলোচনা করে সম্মিলিত উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নিয়ে টেকসই ও স্মার্ট বিশ্ব বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য উদাত্ত আহবান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেনে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস